অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে লাশ হলো ইব্রাহিম। মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের নুরুল আমিন এর ছেলে ইব্রাহিম (৩২)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ইব্রাহিম ও হিজুলী গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে আনিছ উদ্দীন (আনিছ ইব্রাহিমের বোন জামাই) ২জনে জমি বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে আড়াই বছর আগে বৈধভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইরাকে পাড়ি জমায়। সেখানে তারা প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেতনে রাস্তা সংস্কারের কাজে শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিল। কিন্তু তারা ঐ দেশের আদম দালালের খপ্পরে পড়ে। হঠাৎ দুজনের পরিবারের কাছে ফোন আসে তারা গ্রীসে যাবে । ফলে ১০ লক্ষ টাকা পাঠাতে হবে। পরিবারের লোকজন জমি, হালের গরু বিক্রয় করে উক্ত টাকা দালালের মাধ্যমে পাঠায়, কিন্তু এতে তাদের মুক্তি হয়নি।
গ্রীসে মোটা অংকের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে চলতি নভেম্বর মাসে তারা দুইজন সহ আরও প্রায় ২০ জন ট্রলার যোগে গ্রীসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। গ্রীসের কাছাকাছি স্থানে ট্রলার ডুবে যায়। ঠান্ডা পানিতে ১০ জন তীরে সাতরিয়ে উঠে প্রাণে বাঁচলেও ৪জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় গ্রীসের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষনা করে। বাকিদেরকে গ্রীসের পুলিশ করাগারে পাঠিয়ে দেয়। ইব্রাহিমের এ খবর তার দুলাভাই মোবাইলে জানালে ইসলামনগরে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মেহেরপুরের গাংনীতে ইব্রাহিমের বিয়ে হয় ৫বছর আগে। বর্তমানে তার স্ত্রী ও আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ইব্রাহিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত ইব্রাহিমের লাশ দেশে আনার মতো কোন অর্থ তাদের কাছে নেই।
ইত্তেফাক/এএন