টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে মোছা: জাকিয়া বেগম (৫০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করে। উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে হত্যা কান্ডের এঘটনাটি ঘটে। নিহত জাকিয়া ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. সোনা মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে প্রবাসীর স্ত্রী জাকিয়া বেগম তার ছোট ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (১২) ও বড় ছেলের স্ত্রী স্বপ্নকে (২০) নিয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা জাকিয়ার বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
এসময় সে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বড় ছেলের স্ত্রী মোসা. স্বপ্না বেগম ঘুম থেকে উঠে অচেতন অবস্থায় রক্তাক্ত জাকিয়াকে দেখতে পায়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে জাকিয়ার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই জাকিয়ার মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার কারণ জানা যায়নি।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) মুহাম্মাদ শাহাদাৎ হোসেন ও নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, সৌদি প্রবাসী সোনা মিয়ার বড় ছেলে আ: আলিম সিংগাপুরে ও মেঝ ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম মালয়েশিয়া থাকে। ১২ বছর বয়সের ছোট ছেলে মামুন ও বড় ছেলের স্ত্রী স্বপ্নাকে নিয়ে বাড়ীতে তার স্ত্রী বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হত্যা কান্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারন উদঘাটনে জোড় তদন্ত চলছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
সুত্র: http://babblecase.com/2cC9