টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নোয়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দেড় বছর পার হলেও দুই পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার সাত গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। নাগরপুর উপজেলা সদরে আসতে মরণফাঁদ অতিক্রম করতে হচ্ছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।
এলাকাবাসী জানান, আশপাশের সাতটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর ওপর সেতু। তবে শেষ পর্যন্ত সেতু হলেও কমেনি দুর্ভোগ। বরং আরও বেড়েছে। কারণ সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী। তার ওপর পায়ে হাঁটার যে রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমে ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর ওপর ৭২.৬ মিটার সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালে নির্মাণকাজ শেষ করে। সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
চন্দনা আক্তার জানান, আগে সেতু ছিল না তখন নৌকায় পার হয়েছি। এখন সেতু নির্মাণের পরও একই অবস্থা।
নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল সেতু। কিন্তু সেটি নির্মিত হলেও এর কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। সড়ক না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা বাধে। তারা অন্যের জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলম জানান, মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আর পাকা রাস্তা থেকে সেতু পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা রাস্তাও নির্মাণ করতে পারবো।
Source: https://goo.gl/cTT6SY
Published By: https://goo.gl/FKHLEP